Research & Thesis Papers


যারা গবেষণা জগতে নতুন, প্রথমবারের মত আপনার আর্টিকেল কোন জার্নালে প্রকাশ করতে চান, তাদের জন্য।

আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনেক আন্ডারগ্রাজুয়েট থিসিস আছে যা ভালো জার্নালে প্রকাশ করা সম্ভব। কিন্তু অনেক শিক্ষক এ ব্যাপারে উদাসীন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ততোধিক।

শুধুমাত্র পাস করার জন্য লেখা হলেও, অনেক থিসিসের গুনগত মান আন্তর্জার্তিক জার্নালে প্রকাশ করার মত। এগুলো পরবর্তীতে বিভিন্ন স্কলারশিপ পেতে ছাত্রদের যেমন সাহায্য করবে, তেমনি শিক্ষকদের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে রিসার্চ ফেলো/পোস্ট ডক্টোরাল ফেলো হিসাবে মনোনায়ন পেতেও গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে।
বাইরের দুনিয়ায় ছাত্র-শিক্ষকদের উন্নতমানের পেপার লিখতে উৎসাহ দিতে আর্থিক পুরস্কার দিয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে এখনো গবেষনা প্রকাশণাকে তেমনভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয় না।

এ সংক্রান্ত আরোও আর্টিকেল পেতে প্রবচন ব্লগ ফলো করুন। সমসাময়ীক বিষয় নিয়ে একটি চমৎকার প্রমিত ব্লগ

মনে রাখতে হবে, রিসার্চ পাব্লিকেশন আমাদের দেশের ও ভার্সিটির নাম আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়ে যায়। এটি রিসার্চ কোলাবোরেশন ও আন্তর্জার্তিক গবেষণা অনুদান আনতেও বিশেষ ভুমিকা পালন করে।


রিসার্চ প্রপোজাল, বাংলায় গবেষণার প্রস্তাবপত্র:
মাস্টার্স, এমফিল এবং পিএইচডির জন্য গবেষণা পত্র লিখতে হয়। যাকে অনেকে বলেন থিসিস। তবে থিসিস আর রিসার্চ পেপারের মাঝে অনেক পার্থক্য আছে। অনেক সময় স্মাতক পর্যায়েও থিসিস করতে হয়। থিসিস পত্র তৈরির আগে তার একটা প্রস্তাবপত্র লিখতে হয়। একাডেমিক কাজের বাইরেও গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি কাজে এমনকি অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রত্যেক বছর গবেষণা করে থাকে এবং এর জন্য ভালো বাজেটও থাকে। প্রতিষ্ঠানগুলো সংশ্লিষ্ট গবেষণার জন্য গবেষাণার প্রস্তাবপত্র বা রিসার্চ প্রপোজাল আহবান করে থাকে। বিদেশে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপও অনেক সময় এর উপর নির্ভর করে। প্রবাদের ভাষায় বললে পরিকল্পনা কাজের অর্ধেক। রিসার্চ প্রপোজালটা পুরো গবেষনার পরিকল্পনা বলা যায়। রিসার্চ প্রপোজাল লেখাটা তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিভাবে একটা ভালো রিসার্চ প্রপোজাল লিখা যায় তাই পরবর্তী প্রতিপাদ্য।

রিসার্চ প্রপোজালের বিভিন্ন অংশ রিসার্চ প্রপোজাল বা গবেষনার প্রস্তাবপত্রের বিভিন্ন অংশ ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হলো

  • গবেষণার শিরোনাম
আপনি যে বিষয়ের উপর গবেষণা করবেন প্রথমেই তার একটা শিরোনাম লিখতে হবে। শিরোনামটা খুব স্পষ্ট হবে, বেশি বড় হবেনা আবার খুব ছোটও হবেনা। যেমন “পরিবার ও কিশোরী অপরাধ: একটি বিশ্লেষণ”(এটা একটা গবেষণার শিরোনাম, যে গবেষণাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকার ফেব্র“য়ারি ২০০৭ সংখ্যায় প্রকাশ হয়েছে।)

  • গবেষণার ভূমিকা
আপনি যে বিষয়ে গবেষণা করতে চাচ্ছেন তার একটা ভূমিকা যে থাকবে। ভূমিকায় গবেষণার প্রাথমিক কথাবার্তা থাকবে। যেখানে আপনি গবেষণার বিষয়কে প্রাঞ্জল ও সহজভাবে তুলে ধরবেন।

  • গবেষণার যৌক্তিকতা ও তাৎপর্য
আপনি যে বিষয়ে গবেষণা করতে চাচ্ছেন তার প্রয়োজনীয়তা, যৌক্তিকতা, গুরুত্ব এবং তাৎপর্য তুলে ধরবেন। এ বিষয়ে গবেষণার মাধ্যমে সম্ভাব্য ফলাফল ও তুলে ধরতে পারেন। এমন ভাবে তুলে ধরতে হবে যেন বিষয়টিতে কর্তাব্যক্তিরা সহজেই কনভিন্সড হয়।

  • সংশ্লিষ্ট গবেষণার উল্লেখ
আপনার গবেষণা কার্যক্রমের যৌক্তিকতা ও ন্যায্যতা তৈরির জন্য এ বিষয়টি নিয়ে আগে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কী কী কাজ হয়েছে তা দেখবেন। সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রতিবেদন উল্লেখ করবেন।

  • গবেষণার উদ্দেশ্য
গবেষণা কার্যক্রম গবেষক কেন পরিচালনা করবেন তার একটা সংক্ষিপ্ত উদ্দেশ্য রিসার্চ প্রপোজালে উল্লেখ করতে হবে, যথোপযুক্ত শব্দের মাধ্যমে গবেষক তা সংশ্লিষ্টদের বোঝাবেন।

  • গবেষণায় ব্যবহৃত পদসমূহের সংজ্ঞায়ন
গবেষণা করার জন্য বা গবেষণাপত্র লেখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদ বা পরিভাষা গবেষক ঠিক কি অর্থে ব্যবহার করছেন তার একটা সংজ্ঞায়নের প্রয়োজন আছে। এটা বিভিন্ন গবেষনায় বিভিন্ন রকম হতে পারে।

  • অনুমিত সিদ্ধান্ত
গবেষক গবেষণার মাধ্যমে ঠিক কী বের করে আনবেন, অনুমানের উপর কতগুলো সিদ্ধান্ত নেবেন। বিষয় সংশ্লিষ্ট গবেষণা পড়েই গবেষক সে সিদ্ধান্তে পৌঁছবেন এবং এ অনুযায়ী কাজ শুরু করবেন।

  • গবেষণা পদ্ধতি
গবেষক তার গবেষনা কার্যক্রম কি ভাবে পরিচালনা করবেন, তার পদ্ধতি প্রস্তাবপত্র উল্লেখ করবেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে তথ্যানুসন্ধানে পদ্ধতি, নমুনা নির্বাচন, গবেষণা উপকরণ, উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষন কৌশল ইত্যাদি বিষয় আসবে।

  • সময় বন্টন
পুরো গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে কত সময় লাগবে। কোন কাজে কত দিন লাগবে। ইত্যাদি নির্দিষ্ট ভাবে গবেষণার প্রস্তাব পত্রে থাকতে হবে। গবেষণার বিষয় অনুযায়ী এটা ৬ মাস ও হতে পারে আবার ৬ বছরও হতে পারে।

  • থিসিসের সংগঠন
সম্পূর্ণ গবেষণা পত্র কি ভাবে সংগঠিত হবে, কয়টি অধ্যায় থাকবে, পরিচ্ছেদ কিভাবে বিন্যাস্ত হবে গুরুত্বপূর্ণ কি কি বিষয় আসবে তাও প্রস্তাবপত্রে থাকতে পারে।

  • বাজেট
পুরো গবেষণায় কত টাকা লাগবে, কোন খাতে কত লাগবে, তা বাজেটে আসবে। এ ক্ষেত্রে লোক জনের প্রশিক্ষণ, কাগজ, কালি ইত্যাদির খরচ ও আসবে।


  • তথ্যপঞ্জী
গবেষক গবেষণা পত্রটি তৈরি করতে কি কি বিষয় পড়েছেন, প্রাসঙ্গিক প্রন্থ, গবেষণা, প্রবন্ধ, সাময়িকী, জার্নাল ইত্যাদি আসবে

আমাদের নতুন ব্লগঃ প্রবচন ব্লগ


এখন চলুন জেনে নেই কিভাবে থিসিস এবং রিসার্চ পেপার প্রকাশ করতে হয়ঃ

১। কিভাবে আপনার থিসিসকে পেপারে রূপান্তর করবেন?
আন্ডারগ্রাজুয়েট ও পোস্ট-গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীদের থিসিস জমা দেবার পরে, সেটাকে পেপারে রূপ দেয়া খুবই সহজ একটি কাজ। পেপারের মূল গঠন থিসিসের চেয়ে অনেক কম হয়ে থাকে।
৬০০০ শব্দে হয়ে যেতে পারে একটি পরিপূর্ন জার্নাল পেপার। থিসিস থেকে কাট ছাট করার এই প্রক্রিয়াটি করার জন্য দরকার হবে ২/৪ দিন সময়। প্রথমে একটি আউটলাইন তৈরি করুন।
যেমনঃ
১। টাইটেল
২। এবস্ট্রাক্ট
৩। কী-ওয়ার্ড
৪। ইন্ট্রোডাকশন
৪। বিষয় ভিত্তিক আলোচনা
৫। বিষয় ভিত্তিক আলোচনা
৬। রেজাল্ট ও ডিস্কাশন
৭। একনলেজমেন্ট
৮। কনক্লুশন
৯। রেফারেন্স


এরপর এই কাঠামোর ভেতরে লিখতে থাকেন।
১.ক। থিসিসের টাইটেলটিকে জার্নাল পেপারের টাইটেল হিসেবে চালিয়ে দিতে পারেন, অথবা কিছু স্পেসিফিক কি-ওয়ার্ড জুড়ে দিয়ে সুন্দর-সংক্ষিপ্ত কিন্তু বিশ্লেষনাত্মক একটি প্রাসঙ্গিক শিরোনাম দিতে পারেন। অথারলিস্টে শিক্ষার্থীর নাম, সুপারভাইজারের নাম ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ন অব্দান যারা রেখেছেন তাদের নাম থাকা উচিত। এফিলিয়েশনে ভার্সিটির নামের সাথে ঠিকানায় একটি ভাল ইমেইল এড্রেস দিন। পূর্ণ নাম যুক্ত ইমেল এড্রেস দেয়াই প্রচলিতরীতি।

১.খ। এবস্ট্রাক্টটি সংক্ষিপ্ত হতে হবে। সাধারনত ৫০০ বা তার কম শব্দের মদ্ধ্যেই পুরো লেখার সারমর্ম এই অংশে প্রকাশ করতে হয় , জার্নালের গাইড লাইন অনুযায়ী। অবশ্যই আপনার পেপারের গুরুত্ব বুঝিয়ে কিছু ভুমিকা দিতে হবে। এরপরে খুব সংক্ষেপে পেপারে মূল কি বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে, কি কি মেথড ব্যবহার হয়েছে তার উল্লেখ থাকতে হবে। রেসাল্ট-ডিস্কাশন থেকে ধার করে কিছু রেজাল্টও এই অংশে যুক্ত করতে হবে।

১.গ। কী-ওয়ার্ডঃ ৫/৬ টি শব্দ নির্বাচনের মাধ্যমে আপনার লেখাটির মূল বিষয় ও সীমানা পরিস্কার করে ফেলতে হবে। কীওয়ার্ড হিসাবে বৈজ্ঞানিক টার্ম, প্যামিটারেরগুলোর নাম ব্যবহার করা যেতে পারে। টাইটেল থেকেও কিছু মূল শব্দ ধার করতে পারেন।

১.ঘ। থিসিসের ইন্ট্রোডাকশন থেকে নির্বাচিত অংশ নিয়ে জার্নাল পেপারের ইন্ট্রোডাকশন হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। ইন্ট্রোডাকশন সাম্প্রতিক রেফারেন্সযুক্ত করা উচিত, বিশেষ করে যেই জার্নালে পাঠাবেন- সেই জার্নালে প্রকাশিত কিছু পেপার অবশ্যই যুক্ত করুন। এই অংশে লেখার স্কোপ, তাতপর্য, গুরুত্ব, উদ্দেশ্য, আপনার পেপারের মূল আলোচ্য সমস্যার বর্নণা থাকতে হবে।

১.ঙ। বিষয় ভিত্তিক আলোচনাঃ এই অংশটি লিটারেচার রিভিউ থেকে নিতে পারেন। পেপারের রেজাল্টগুলোর প্যারামিটারগুলো বর্ননা করতে পারেন। যেসব ইকুপমেন্ট-যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে তার পরিচিতি ও একুরেসী দিতে হবে। এই অংশে যে মেথডলজি এই পরীক্ষার ব্যবহার করা হয়েছে, সেটাও থাকতে হবে।

১.চ। রেজাল্ট ও ডিস্কাশনে গ্রাফ ও টেবিল থাবে। প্রতিটি টেবিল ও গ্রাফের/চার্টের বর্ননা পাশাপাশি থাকতে হবে। ডিস্কাশনে প্রাসঙ্গিক কিছু পেপারের রেজাল্টের সাথে তুলনা থাকতে পারে।

১.ছ। কনক্লুশনঃ রেজাল্টে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ন তথ্য এইখানে পয়েন্ট আকারে লিখুন। থিসিসে অনেক বড় করে লিখা থাকলে, সেখান থেকে কেটে ছেটে সংক্ষেপে দিন। অবশ্যি কিছু নিউমারিক রেজাল্ট থাকতে হবে, শুধু তুলনামূলক আলোচনা থাকলে চলবে না।

১.জ। একনলেজমেন্টঃ আপনার ল্যাব এসিস্টেন্ট, সহকারী, পরামর্শদাতা, আর্থিক সাহায্যকারী প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এই অংশে উল্লেখ করুন।

১.ঝ। রেফারেন্সঃ রেফারেন্স লিখার অনেক পদ্ধতি আছে। আপনি যে জার্নালে পাঠাবেন, সেখানে কোন পদ্ধতিতে লিখতে বলছে সে অনুযায়ী সাজান। যেমনঃ হার্ভার্ড, নাম্বারিং সিস্টেম। রেফারেন্স সাজানোর অনেক সফটওয়ার আছে, যেমনঃ END NOTE (http://www.endnote.com/ ), Clarivate (https://clarivate.com/) ইত্যাদি। ইউটিউব থেকে এগুলোর ব্যবহারবিধি সহজে শিখতে পারবেন।

২। কোথায় পাব্লিশ করবেন আপনার আর্টিকেল?
অনেক জার্নাল আছে, অনেক কনফারেন্স হচ্ছে প্রতি বছর আপনার বিষয়ে। কনফারেন্স পেপারের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রেই জার্নাল পেপারের মূল্য বেশি। সঠিক জার্নাল নির্বাচন আপনার পেপারকে দ্রুত পাব্লিশ করতে সহায়তা করে। শুরুতেই আপনার বিষয়ে কোন জার্নালগুলো ভালো, তা বুঝার জন্য আপনি যেসব পেপার সাইট করেছেন পেপারে, সেগুলো কোন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে তা দেখে নিন। ১০-১৫টি জার্নালের একটি তালিকা তৈরী করুন।

এবার একটি করে জার্নাল সার্চ করে তার ওয়েবসাইটে গিয়ে ভালো করে নিচের তথ্যগুলো টুকে নিন।
ক. স্কোপ
খ. ইস্যু/ইয়ার
গ. ইম্প্যাক্ট ফেক্টর
ঘ. এডিটরের নাম ও ইমেইল ঠিকানা

এবার স্কোপ পড়ে নিশ্চিত হোন, কোন কোন জার্নাল আপনার বিষয়ের পেপার প্রকাশ করে। ইস্যু সুংখা প্রতি বছরে ৪ এর বেশি হলে বুঝবেন জার্নালটির প্রচুর পেপার দরকার হয়। এরমানে এদের সম্পাদনা ব্যবস্থা বেশ দ্রুত, আপনার লেখাটি প্রকাশ হবে কিনা তা দ্রুত জানাবে।

কিছু জার্নাল ১ বছর পর এক্সেপ্ট করে, কিছু জার্নাল ৩মাস এর মধ্যেও এক্সেপ্ট করে। ১০দিনেও অনেক পেপার এক্সেপ্ট হয়েছে দেখা যায়। তাই পেপার সাবমিট করে ধৈর্য্য নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। স্কোপ নিয়ে কোন সন্দেহ থাকলে জার্নালের এডিটর বরাবর ইমেইল করে নিশ্চিত হতে পারেন (আপনার পেপারের টাইটেল ও এবস্ট্রাক্ট দিতে হবে)। এরপরে আসে ইম্প্যাক্ট ফেক্টর। এটা আসলে বুঝায়, জার্নাল্টির পেপারগুলো কত বেশি অন্য পেপার দ্বারা সাইটেড হয়।

উচ্চ ইম্প্যাক্টের জার্নালে পাব্লিশ করা কঠিন, কারন সেখানে লেখা পাব্লিশ করার জন্য অনেক পেপার এডিটরের কাছে আসে। কারন উচ্চ ইম্প্যাক্ট যুক্ত জার্নালে পাব্লিশ করা যেমন সম্মানের তেমনি এতে অনেক সাইটেশন পাবার সম্ভাবনা থাকে। ইম্প্যাক্ট ফেক্টর ৫ মানে, জার্নাল্টির প্রতিটি পেপার গড়ে ৫টি করে সাটেশন পায় প্রতি বছর। খেয়াল করে দেখবেন, অনেক জার্নালে পেপার পাব্লিশ করলে তারা লেখকের কাছ থেকে পাব্লিশ করার জন্য টাকা নিয়ে থাকে (৫০০-১০০০ডলার)।

আবার অনেক জার্নালে ফ্রি পাব্লিশ করে। আপনার সংগতি বুঝে জার্নাল নির্ধারন করুন।


৩। কিভাবে পাঠাবেন আপনার পেপার?
অধিকাংশ জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক জার্নালে পেপার পাঠানোর অনলাইন সিস্টেম আছে, যেখানে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করে পেপারটির ফাইল আপ্লোড করতে হবে। আবার অনেক জার্নালে সোজাসুজি ইমেইল করলেই হয়। আপ্লোড করার আগে খেয়াল করে জার্নালের ‘অথার গাইডলাইন’ পড়ে পেপারটির ফরম্যাট করুন। পাঠিয়ে দেবার আগে একটি কভার লেটার লিখুন, যেখানে ফরমালি এডিটর সাহেবকে আপনার পেপারটি পাব্লিশ করার অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি দিবেন। অবশ্যই আপনার পুরো নাম ও ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্টের ঠিকানা ব্যবহার করবেন চিঠির শেষে। লেখা শেষ হলে খুব সতর্ক হয়ে লেখার ফ্লো, বর্ননার খুত, গ্রামারের ভুল-চুকগুলো শুধরে নিন। এরপর সাবমিট করে অপেক্ষা করুন রিভিয়ারের কমেন্টের।

টিউটোরিয়ালঃ
থিসিস অথবা রিসার্চ পেপার কিভাবে লিখতে হয়, সে সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা পেতে আমাদের EduTerminal - এর রিকোমান্ডেন্ট টিউটোরিয়াল গুলো দেখতে পারেনঃ
NOW

রিসার্চ এবং থিসিস পেপার ডাওনলোডঃ

আপনার রিসার্চ বা থিসিস পেপার পাবলিশ জন্য আপনার স্বাভাবিক ভাবেই অনেক গুলো পেপার পড়তে হতে পারে। আপনি হয়তো ইতোমধ্যে নেট সার্চ করে দেখেছেন, বেশিরভাগ ভালো পেপার গুলো কিনে পড়তে হয়।

তাই আমাদের EduTerminal সাইটের মেম্বারদের জন্য আমরা কিছু পদ্ধতি বের করেছি, যেগুলো ব্যাবহার করে আপনি ফ্রি তে যেকোন প্রিমিয়াম পেপার পড়তে পারবেন।


পদ্ধতি ১: Google Scholar, যা আমরা সবাই জানি। নাম লিখে সার্চ করলেই সহজেই আপনি ডাওনলোড লিংক পেয়ে যাচ্ছেন। (৩০% সম্ভাবনা)

পদ্ধতি ২: CiteSeerX , এটাও অনেকেই জানেন আশা করি, এখানেও Author বা Paper এর নাম লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। (৫০% সম্ভাবনা)

পদ্ধতি ৩: Sci-HUB, এটাও অনেকেই জানেন আশা করি, এখানেও Author বা Paper এর নাম লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। (৭০% সম্ভাবনা)

পদ্ধতি ৪: ScienceDirect , এটাও অনেকেই জানেন আশা করি, এখানেও Author বা Paper এর নাম লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। (৮০% সম্ভাবনা)

পদ্ধতি ৫: Paper Search Engine , আপনার প্রয়োজনীয় পেপার খুজে বের করুন, সেটি হোক প্রিমিয়াম, পড়তে টাকা লাগবে। সমস্যা নেই, দেখুন যে ওয়েব-সাইটে ঢুকেছেন, সেখানে, সেই পেপারের ডিটেল'স এ বা কোন একটা যায়গায়, PMID, অথবা DOI, অথবা ISSN: XXXX, ISBN বা নাম এদের মাঝে যেকোন একটা খুজে বের করুন। এগুলোর মাঝে একটা সেখানে দেয়াই থাকবে। ব্যাস, এবার যেটাই পান, সেটাই কপি করুন, এবং Paper Search Engine এ গিয়ে দেখবেন একটা সার্চ বক্স আছে, সেখানে পেস্ট করে সার্চ করুন, (৯০% সম্ভাবনা আছে ডাওনলোড লিংক পেয়ে যাবেন)

পদ্ধতি ৬: উপরের কাজ গুলো ফলো করুন, PMID, DOI, ISSN, ISBN অথবা সেই প্রিমিয়াম পেপারের লিংক, বা নাম এদের মাঝে যেটাই পাবেন কপি করুন, এরপর নিচের লিংকগুলোতে গিয়ে গিয়ে আলাদা আলাদা ভাবে সার্চ করুন। Chrome এ extenstion নামিয়ে নিবেনঃ এখানে বিস্তারিত (98% সম্ভাবনা আছে ডাওনলোড লিংক পেয়ে যাবেন)
  1. LINK 1 : SCI HUB SE - 80%
  2. LINK 2 : SCI HUB TW - 80%
  3. LINK 3 : ELSE VIER - ISSN
  4. LINK 4 : CITEERX - 80%
  5. LINK 5 : SCIENCE DIRECT - DOI
  6. LINK 6 : GEN LIB RU - 98%
  7. LINK 7 : LIB GEN IO - 98%
  8. LINK 8 : LIBGEN PW - 98%

পদ্ধতি ৭ঃ (সবচে' বেস্ট)
পিসিতে গুগল ক্রোম ইউজ করুন, লেটেস্ট ভারসন, এখানে। এরপর এখান থেকে অথবা এখান থেকে ZIP ফাইলটি ডাওনলোড করে নিন। ডাওনলোডের পর এক্সট্রাক্ট করুন এবং ক্রোম এক্সটেনশন থেকে LOAD UNPACK EXTENSION সিলেক্ট করে আপনার এক্সট্রাক্ট করা ফোল্ডারটি দেখিয়ে দিন।




এরপর দেখবেন Sci-HUB এর একটা এক্সটেনশন চলে এসেছে। ব্যাস, এবার যেকোন Piad বা free রিসার্চ পেপার বা জার্নাল ওপেন করে, সেই এক্সটেনশনে প্রেস করুন, সাথে সাথে ডাওনলোড লিংক পেয়ে যাবেন।


0/Post a Comment/Comments

Previous Post Next Post
Probochon.Blog
Hire Us